১৯শতকের একটা Hypothesis কিভাবে বর্তমান আধুনিক সময়ে এসে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো এবং এই ধরনা পরে যাকে একটা বৈজ্ঞানিক মতবাদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করানো হয়েছে তার উপর বিশ্বাস আনাতে পারলে লাভ কোথায়? এই সব বিষয় নিয়ে বলার আগে চার্লস ডারউনের সেই হাইপোথেসিস ও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক।
কোটি কোটি বছর আগে আবদ্ধ পানিতে এককোষী জীবের জন্ম হয় এবং সেখান থেকে কোটি কোটি বছর পর বহুকোষী প্রাণীর সৃষ্টি হয়। তার পর তারা উদ্ভিদ ও প্রাণীতে ভাগ হয়ে যায়। এভাবে পৃথিবীতে জীবের সূচনা ঘটে। মানুষ মুলত প্রথমে মানুষ ছিলো না। বানর থেকে জিন গত ক্রবিকাশের একপর্যায়ে এসে বানর মানুষে রুপান্তরিত হয়েছে। (সংক্ষেপে বলতে গেলে এতটুকুই)
প্রথমত এই যে কোটি কোটি বছর আগে আবদ্ধ পানিতে এককোষী জীবের সৃষ্টি হয়েছে তা একটা ধারনা, কে প্রমান করতে পেরেছে এমনটা হয়েছে? বিজ্ঞানীরা তাহলে কিভাবে এটা জানলো? তারা আসলে জানেনা, তারা যাস্ট একটা ধারনা করেছে যে, এভাবে জীবের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এটা এতটাই দুর্বল ধারনা যে এটা শোনার সাথে সাথে একজন বোকা মানুষও প্রশ্ন করে বসতে পারে আচ্ছা সেই এক কোষী জীবটা কিভাবে তৈরি হলো? এমনি এমনি পানিতে এককোষী জীব তৈরি হলো কিভাবে? তাহলে আমার তো মনে হচ্ছে প্রানীর জন্ম পানি থেকেই হয়েছে। যদিও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে বলেছেন তিনি পানি দ্বারা সকল প্রানীকে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু ঐ বোকা মানুষটি হয় প্রশ্ন করতে পারে আচ্ছা তাহলে পানি কিভাবে তৈরি হলো? বা কে তৈরি করলো?
আচ্ছা বাদ দেন সেই সব কথা এটা তো একটা ধারনা এর জন্য জীবন দিবো নাকি? মানুষ বানর থেকে সৃষ্টি হতে পারে সেটা ডারউন কখনো প্রমান করতে পারবেন না, সে কথা ডারউন নিজেই বলেছেন তবে তিনি এটাও বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন মানুষ বানর থেকেই এসেছে। তাহলে বুঝা গেলো এটা ডারউনের আকীদা ছিলো। তার এই আকীদার পক্ষে তার কোন প্রমান নেই তাও সে স্বীকার করেছিলো। আমাদের আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য ছিলো তাহলে কেনো ডারউনের সেই বিশ্বাস(আকীদা) / ধারনা(যার পক্ষে কোন বাস্তব যুক্তি নেই) আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে?
পৃথিবীর সকল সচেতন মানুষ এই মতবাদ যখন শুনে তখন প্রশ্ন করে তাহলে কেন আজ কোন বানর মানুষ হয় না? বা কোন মানুষ কেন বানর বা অন্য কোন প্রানী হয় না? পশ্চিমা সমাজ এই মতবাদকে পার্সিয়ালি গ্রহন করে কারন তারা জানে না মানুষ কিভাবে এসেছে। নাই মামার থেকে যেমন কানা মামা ভালো তাই, কোন তথ্য না থাকার বদলে কোন ধরনা থাকা তো অন্তত ভালো। কিন্তু মুল কনসার্ন এর বিষয় হলো মুসলিম সমাজকে নিয়ে। নাস্তিকরা জানে মুসলমানদের ধর্মের মুল হলো তাদের বিশ্বাস। যদি কারো বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায় তবে তার ঈমান চলে যায়। মুসলমানরা বিশ্বাস করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা, যিনি হও বললেই হয়ে যায় তিনি সর্বপ্রথম আদম আঃ কে সৃষ্টি করেন এবং তার থেকে হাওয়া আঃ কে সৃষ্টি করেনে এবং তাদের দুজন থেকে সকল মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ থেকে বিবর্তন হয়ে বানর, কুকুর, কোন পাখি বা গাছ পালা উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়নি বরং সেগুলোকে আলাদা আলাদা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বিশ্বাসের মাঝে চিড় ধরাতে এই হাস্যকর হাইপোথেসিস/ধারনা কে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্তত একহাজার জনের মধ্যে পাচ দশজন তো এই মতবাদকে মেনে নিবে। বিশেষ করে শিশুরা ও যারা যানে না তাদের তো বুঝানো যাবে। এতে করে নাস্তিকদের প্রথম সবক সফল হবে এবং এর পর্বর্তীতে তাদের সাম্যবাদ, ভোগবাদ বুঝাতে সাহায্য করবে।
পানির মত সহজ যখন মুসলমানের বিশ্বাস নড়বড়ে হবে। যখন বিশ্বাস/আকীদায় ভ্রান্ত কিছু ঢুকবে তখন সে আর ইমানের উপর থাকবে না। ইসলামি শরিয়তের কোন প্রতিষ্ঠিত বিষয়ের উপর অস্বীকার করা হলো ঈমান ভঙ্গের একটা মৌলিক কারন। মুমিনকে ঈমান থেকে সরাতে পারলে তাদের প্রথম ধাপ সফল। আর এই প্রচেষ্টায় তারা নাবালক শিশুদের টার্গেট বানিয়েছে, যাদের ভুল ভাল বুঝিয়ে দেয়া যাবে। সকল প্রানী এককোষী জিব সৃষ্টি হয়েছে, শেখা শিশু যখন জানবে মানুষকে আস্ত বানানো হয়েছে, সে সেটা বিশ্বাস করতে চাইবে না। তার কাছে ইসলামের এই ব্যাখ্যা (আদম আঃ কে স্বশরীরে বানানো) যুক্তিহীন মনে হবে। এভাবেই একটা জাতির মুল্যবোধ পরিবর্তন করে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে।
মানুষের বিশ্বাসকে জ্ঞানের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায়। যাকে মুল্যবোধের পরিবর্তন বলে। এটা সবচেয়ে সহজ ভাবে করা যায় স্কুলের মাধ্যমে। একজন ছাত্র স্কুলে তার শিক্ষকের থেকে যা শিখে তাকে সঠিক হিসাবে ধরে নেয় এবং এর বিপরীতে পিতা-মাতার ব্যাখ্যাকেও গ্রহন করতে চায় না। তাই কুশিক্ষিত জনরা জনগনের টাকায় জনগনের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কুশিক্ষিত করার নীল নকশা গ্রহন করেছে। এজন্যই শিশু বয়সে তারা আমাদের সন্তানদের LGBTQ, বিবর্তনবাদ, লিভট্যুগেদার, পর্দা কে কুসংস্কার ও নারী পুরুষকে বিভক্তকারী টক্সিক নারীবাদ, নাস্তিক্যবাদ এসবের সাথে পরিচিত করাচ্ছে।
0Comments
Post a Comment