এককোষী জীব থেকে বহুকোষী জীবে পরিবর্তন হওয়া হলো বিবর্তনের মৌলিক বিষয়। প্রথমে এককোষী জীবের অস্তিত্ব এর পর কল ক্রমে এই এক কোষী জীবের বহুকোষীতে রুপান্তরের যে ধারা এটাই বিবর্তন। এই বিবর্তনের সাথে খুবই সামঞ্জস্য উদাহরন হলোঃ মানুষ, কোন নারী যখন সন্তান ধারন করে তখন কি ঘটে? নারীর প্রজননতন্ত্রে শুক্রানু ও ডিম্বানুর নিষেক ঘটে জাইগট তৈরি হয়। যা একটা সিঙ্গেল কোষ। এই কোষ মায়োসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে মানুষে রুপান্তরিত হয়। খুবই সহজ হিসাব এক কোষী থেকে যে বহুকোষী জীব তৈরি হয় এই প্রক্রিয়া প্রমান করা এতটাই সহজ। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় অন্য একটা জায়গায়।
বিবর্তন জীববিজ্ঞানের মৌলিক বিষয় কারন প্রতিটি কোষ বা সেলের বিভাজন এবং এর বৈশিষ্ট এবং এই বৈশিষ্টের পরিবর্তনের ধারা এগুলো জীববিজ্ঞানের সাথে সরাসরি জড়িত। আর তাই জীববিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদ ছাড়া জীববিজ্ঞানকে কল্পনা করেন না। যেহেতু বিজ্ঞান যুক্তি ও প্রমান করার বিষয় তাই যাহার ব্যাপারে যুক্তি দেয়া যায় না এবং প্রমান করা যায় না তাহা বিজ্ঞানের অংশ নয়। তাহলে তা কিসের অংশ? দর্শনের অংশ। এই ছোট পোস্ট দর্শন আলোচনা করছিনা আর আমার দর্শনের বিষয়ে কোন জ্ঞানও নেই। আমি বলতে চাচ্ছি এই যে এক কোষী জীব থেকে বহুকোষীজীবের উৎপত্তি এই কন্সেপ্টটাই বিজ্ঞানের লিমিটেশনের জায়গা। কেননা বিজ্ঞান হলো যুক্তি ও প্রমানের বিষয়, আর বিজ্ঞান এই এককোষী জীবকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। বিজ্ঞান কি পারে তা বিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবে কিন্তু আমি বলছি ভিন্ন কথা। প্রতিটি এক কোষী জীব যা বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করছে এগুলো এসেছে কোন না কোন এককোষী বা বহুকোষী জীবের অংশ থেকে। মাতৃগর্ভে এক কোষী জাইগোট কিন্তু এমনি এমনি তৈরি হয়নি।
ধরুন এক কোষী কোন এমিবা বা ব্যাক্টেরিয়ার কথা এগুলো কোননা কোন মাদার জীব থেকে বিভাজিত হয়েছে বা হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের বিবর্তন হচ্ছে; বৈশিষ্টের পরিবর্তন হচ্ছে, আকার আকৃতির পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু এরা একা একা তৈরি হচ্ছে না। পৃথিবীতে একা একা কোন কিছু তৈরি হয় না। তাহলে এতদিন বিজ্ঞানীরা যেসব জীব আবিষ্কার করেছে তার থেকে পুরোপুরি ভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের জীব আবিষ্কার করে ফেলতো। সকল কোষেই তারা সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, মাইট্রোকন্ডিয়া... আবিষ্কার করে। আর এগুলো একেকটা একেক আকার ধারন করে, একেক বৈশিষ্ট ধারন করে। কোন জীবের অংশ কেটে অন্যজীব গঠন করা যায় না, কেন যায় না?
তাহলে বুঝা যাচ্ছে এই যে ক্ষুদ্রতম একক গুলো যেগুলো বিজ্ঞানীরা ডিফাইন করেছে সেগুলোরও কোননা কোন ক্ষুদ্রতম অংশ আছে যেগুলো ভিন্নভিন্ন জীবের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন। আর এই ভিন্নতার জন্যই একই ধরনের কতগুলো ক্ষুদ্রকোষ ভিন্ন ভিন্ন জীবে পরিণত হয় না।
এই আলোচনায় দীর্ঘদিনধরে বিজ্ঞানীরা তাদের উচ্চ চিন্তাশক্তীর বদৌলতে সাধারন মানুষে ধোকা দিয়ে আসছেন। তারা এক কোষী জীব পর্যন্ত আলোচনা করছে কিন্তু বলতে চাইছে না এই এক কোষী জীবের অস্তিত্ব আসলো কোথা থেকে? এমন প্রশ্ন করলে আপনি হয়ত আর বিজ্ঞানমনষ্ক থাকতে পারবেন না। কারন এটা বিজ্ঞানের সাথে যায় না, যা প্রমনা করা যায় না তার সাথে বিজ্ঞানের আরি। তাহলে বুঝা যাচ্ছে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার প্রচীরে দর্শনের শুরু। কিন্তু জনাব বিজ্ঞানীর কাছে দর্শনের স্থান তো কন্ডিশনাল। মুক্তমনা আর সংশয়বাদী হলে তো কথাই নেই। ডিম আগে না মুরগী আগে এই প্রশ্নে তাদের একটাই উত্তরঃ এককোষী মুরগী যা বিবর্তিত হয়ে মোরগ-মুরগীতে পরিণত হয় এরপর তাদের মিলনের ফলে মুরগীর পেটে নিষিক্ত ডিম তৈরি হয় যা মুরগী পেড়ে দেয় এর পর ডিম থেকে পুনরায় মোরগ বা মুরগি জন্ম নেয় আর এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে কিন্তু কখনই আর এককোষী কিছু থেকে মোরগ বা মুরগি জন্ম নেয় না।
0Comments
Post a Comment